১৭ বছর পর কলম্বোতে টেস্ট, টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

আন্তঃবাণী ডেস্কঃ
১৭ বছর পর ঐতিহাসিক সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) গ্রাউন্ডে টেস্ট খেলতে নামল বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে আজ শুরু হয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ। গলে প্রথম ম্যাচটি ড্র হলেও আজকের ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া দুই দল। ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
পিচ রিপোর্ট অনুযায়ী, এসএসসি গ্রাউন্ডের উইকেটে রয়েছে হালকা ঘাস। দিনের শুরুতে বল কিছুটা সুইং করলেও পরে তা ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে অধিনায়ক শান্তকে।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়—স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও পেসার ইবাদত হোসেন। চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ, যার জায়গায় দলে ফিরেছেন ইবাদত। শেষবার তিনি খেলেছিলেন ২০২৩ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দীর্ঘ চোট কাটিয়ে অবশেষে টেস্ট দলে ফিরলেন এই নির্ভরযোগ্য পেসার।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার একাদশেও এসেছে পরিবর্তন। টেস্ট অভিষেক হচ্ছে অলরাউন্ডার সোনাল দিনুশার, যিনি কুশল মেন্ডিসের কাছ থেকে টেস্ট ক্যাপ গ্রহণ করেন আজ সকালে। লঙ্কান দলে রয়েছে দুই স্পিনার ও দুই পেসার। একাদশে আছেন পাতুম নিশাঙ্কা, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্ডিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সোনাল দিনুশা, থারিন্দু রত্নায়েকে, প্রবাত জয়াসুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্ডো ও আসিতা ফার্নান্ডো।
বাংলাদেশের একাদশেও এসেছে কিছু কৌশলগত পরিবর্তন। উইকেটের ধরন ও প্রতিপক্ষের শক্তি বিবেচনায় ফেরানো হয়েছে মিরাজকে, যিনি ব্যাটে-বলে দলের জন্য বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। টসের সময় অধিনায়ক শান্ত জানিয়েছেন, জাকের আলীর পরিবর্তে মিরাজ দলে ফিরেছেন এবং হাসান মাহমুদ খেলছেন না চোটের কারণে।
১৭ বছর আগে এই এসএসসি গ্রাউন্ডেই টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ, যেখানে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরি এবং সেই ম্যাচে ‘রিটায়ার্ড আউট’ হওয়া একটি বিরল ঘটনাও স্থান করে নিয়েছিল ইতিহাসে। এই মাঠে সেই স্মৃতি ফেরানোর পাশাপাশি নতুন কিছু যোগ করার সুযোগ আজকের তরুণ দলের সামনে।
প্রথম ম্যাচ ড্র হলেও দুই দলের জন্যই এটি ‘ডু অর ডাই’। জয় কিংবা সিরিজ হার—সবকিছুই নির্ভর করছে এই ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
এবি/সিএস