ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচের বিরুদ্ধে পাঁচটি দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচের বিরুদ্ধে পাঁচটি দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়ে। মঙ্গলবার (১০ জুন, ২০২৫) এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা:
- ইতামার বেন-গভির: ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী।
- বেজালেল স্মোট্রিচ: ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী।
নিষেধাজ্ঞার কারণ ও প্রভাব:
এই পাঁচ দেশ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে যে বেন-গভির এবং স্মোট্রিচ "চরমপন্থী সহিংসতাকে উসকে দিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছেন।" তাদের এমন কাজ "কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়" বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে এই দুই মন্ত্রী উল্লেখিত দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং তাদের যদি কোনো সম্পদ থাকে, তাহলে তা জব্দ করা হবে। এটি ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাঁচ দেশের যৌথ বিবৃতি:
এই দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলিদের প্রতি আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা পশ্চিম তীরে সমস্ত চরমপন্থা, সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসান চান। বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি গুরুত্ব পেলেও গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি ভুলে যাওয়া হয়নি। গাজায় গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ভয়াবহ অভিযানে এই দুই মন্ত্রী সরাসরি সংশ্লিষ্ট বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঁচটি দেশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, যদি ইসরায়েল গাজার ফিলিস্তিনিদের জোর করে পশ্চিম তীরে সরিয়ে নিয়ে গাজা পুরোপুরি দখলের চেষ্টা করে, তবে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া:
ইসরায়েল এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা'আর এটিকে "চরম অপমানজনক" বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে সরকারের বিশেষ বৈঠক ডেকে এই "অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তের জবাব" ঠিক করা হবে। স্মোট্রিচ নিজেও যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপকে "তুচ্ছ" বলে অভিহিত করে বলেছেন, ইসরায়েল নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাবে।
এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলি সরকারের ডানপন্থী নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অসন্তোষের প্রতিফলন এবং ফিলিস্তিন সমস্যার একটি ন্যায্য ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টির একটি অংশ।
এবি/আরআর