কাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে ঝড় তুললেন শাহীন, কড়া প্রতিক্রিয়ায় বাফুফে
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যেন মাঠের বাইরের এক নতুন খেলার নাম। শনিবারের সন্ধ্যায় যখন বাফুফে ভবনে ‘মিট দ্য প্রেস’ নামক আয়োজনে চলছিল প্রতিটি সদস্যের বক্তব্য—প্রায় শান্ত, প্রথাগত—তখনই দৃশ্যপট বদলে দেন সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন।

স্পোর্টস ডেস্কঃ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যেন মাঠের বাইরের এক নতুন খেলার নাম। শনিবারের সন্ধ্যায় যখন বাফুফে ভবনে ‘মিট দ্য প্রেস’ নামক আয়োজনে চলছিল প্রতিটি সদস্যের বক্তব্য—প্রায় শান্ত, প্রথাগত—তখনই দৃশ্যপট বদলে দেন সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন।
নির্ধারিত আলোচনার বাইরে গিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। কথার ঝড়ে উচ্চারণ করেন—“আমি হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার পদত্যাগ চাই।”
এ যেন বজ্রপাত এক নিরুত্তাপ আকাশে। সাংবাদিকদের মধ্যে নেমে আসে স্তব্ধতা, আর বাফুফে নেতাদের চোখে-মুখে হতবাক বিস্ময়।
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা—বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ। সম্প্রতি তার পারফরম্যান্স নিয়ে অন্দরমহলে অসন্তোষ বিরাজ করলেও, প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য ছিল অভূতপূর্ব। শাহীনের এই বক্তব্য শুধু প্রথাভঙ্গই নয়, বরং প্রতিষ্ঠানগত শৃঙ্খলার প্রতি এক বড় প্রশ্নবোধকচিহ্ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “এই বক্তব্য পুরো নির্বাহী কমিটিকে বিব্রত করেছে। একজন সাধারণ সদস্য হয়ে এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার তাঁর নেই। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তাভাবনা চলছে।”
দুর্নীতি বা ব্যর্থতার অভিযোগে নয়, বরং কৌশলগত মতপার্থক্যের কারণে এক কোচের অপসারণ দাবি যদি হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠানবিরোধী কর্মকাণ্ডের সমান, তবে বুঝে নিতে হয়—বাফুফের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জমিন কতটা উত্তপ্ত।
কাবরেরা কি তবে নিজের দায়িত্বে অনড় থাকবেন? নাকি শাহীনের একক আওয়াজ হবে আরও অনেক অপ্রকাশিত কণ্ঠের প্রতিধ্বনি? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের অলিন্দে।
বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ এখন শুধু মাঠের পারফরম্যান্সেই নির্ধারিত হবে না—নির্ধারিত হবে সংগঠনের ঐক্য, সহনশীলতা, আর নেতৃত্বের দূরদৃষ্টিতেও।
এবি/সিএস