রোজ বোলে ইউরোপের দ্বৈরথে পিএসজির বজ্রপাত, আতলেতিকোর বিপক্ষে ৪-০ গোলের দাপুটে জয়
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে মুখোমুখি হল দুই ইউরোপিয়ান শক্তিধর—প্যারিস সেন্ট জার্মেইন ও আতলেতিকো মাদ্রিদ। রোজ বোলের উত্তপ্ত সূর্যরোদে, ৮০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে ইতিহাস গড়ল পিএসজি। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা যেন আগুন হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আর ১০ জনের আতলেতিকো অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।

স্পোর্টস ডেস্কঃ
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে মুখোমুখি হল দুই ইউরোপিয়ান শক্তিধর—প্যারিস সেন্ট জার্মেইন ও আতলেতিকো মাদ্রিদ। রোজ বোলের উত্তপ্ত সূর্যরোদে, ৮০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে ইতিহাস গড়ল পিএসজি। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা যেন আগুন হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আর ১০ জনের আতলেতিকো অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।
খেলার প্রথম ১৫ মিনিটেই বলের দখল ছিল ৮২.৬ শতাংশ সময় পিএসজির দখলে। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইজ দারুণ এক নিচু শটে গোলের সূচনা করেন। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ভিটিনহার চমৎকার স্লালম রান ও ফিনিশিং পিএসজিকে ২-০ তে এগিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও, আতলেতিকোর দুর্ভাগ্য ও বিশৃঙ্খলা ম্যাচে তাদের শেষ গন্তব্য নির্ধারণ করে দেয়। ৭৮তম মিনিটে ক্লেমেন্ট লেংলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে আতলেতিকো নামে ১০ জনে। শেষ দিকে মাঠে নামে তরুণ সেনি মায়ুলু—যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের নায়কও ছিলেন। ৮৭তম মিনিটে তিনি নিচু শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান।
শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে লি কাং-ইনের গোল আতলেতিকোর লজ্জা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর আগে আতলেতিকোর একমাত্র স্পষ্ট সুযোগটি মিস করেন সোরলোথ, যেটি হয়তো ম্যাচে ভিন্ন মাত্রা আনতে পারত।
৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিফার ওপর সমালোচনা উঠেছে। খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ ছিল দুটি কুলিং ব্রেক, যেখানে তাদের মাথায় ঠান্ডা তোয়ালে দিতে দেখা যায়। ভিটিনহা ম্যাচ শেষে বলেন, “খেলার শর্ত ছিল কঠিন।” পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেন, “তাপমাত্রা খেলার গতি ও ছন্দে প্রভাব ফেলেছে।”
ম্যাচ সেরা ভিটিনহা, যিনি শুধু গোল করেননি, বরং মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। ফাবিয়ান রুইজ ছিলেন দুর্দান্ত। কভারাটস্কেলিয়া দুইটি অ্যাসিস্ট করলেও নিজের ছন্দে ছিলেন না। মায়ুলু আবারও প্রমাণ করলেন, ভবিষ্যতের পিএসজির গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হবেন তিনিই।
পিএসজি ২০ জুন মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের ক্লাব বোটাফোগোর। আতলেতিকো ১৯ জুন খেলবে মেজর লিগ সকারের দল সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে।
যেখানে খেলাধুলার সৌন্দর্য তীব্র গরমে ভুগছে, সেখানে পিএসজির ফর্ম যেন আগুনে পাথরে লেখা ছাপ—অপরাজেয়, নির্ভীক, এবং অনির্বাণ।
এবি/সিএস