১১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ ও সংস্কার হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান

প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে উন্মুক্ত দরপত্রের বদলে ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন’ দেখিয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে, উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় গেলে আগামী ৫ আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে জাদুঘরের উদ্বোধন সম্ভব হবে না।

Jul 15, 2025 - 14:23
Jul 15, 2025 - 14:28
 0
১১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ ও সংস্কার হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান

আন্তঃবাণী নিউজ ডেস্ক :

ঢাকায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য মোট ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার দুটি প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করা হবে। এই জাদুঘরে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের নানা স্মৃতি, শহিদদের স্মারক এবং বিগত ১৬ বছরের নিপীড়নের দলিল ও আলোকচিত্র সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে উন্মুক্ত দরপত্রের বদলে ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন’ দেখিয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে, উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় গেলে আগামী ৫ আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে জাদুঘরের উদ্বোধন সম্ভব হবে না। তাই সরকারি ক্রয় আইন (পিপিএ ২০০৬) ও বিধিমালার (পিপিআর ২০০৮) নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী সরাসরি ঠিকাদার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথম প্রকল্পটি হলো ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল অংশের নির্মাণ ও সংস্কার, যার দায়িত্ব পেয়েছে মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্স। এই অংশে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রকল্পটি সিভিল নির্মাণকাজ, যার দায়িত্বে রয়েছে দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। এই অংশের জন্য ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

দুটি প্রকল্পই দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হবে, যাতে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট স্মৃতি জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা যায়।

এবি/এসএফ