ভারতে ইলিশ রফতানি, এক সপ্তাহে গেছে ১৩৬ টন
ভারতে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে রফতানির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে রফতানির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। হাতে সময় কম থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরো চালান রফতানি হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। রফতানি শুরুর পর গত ১২ দিনে (১৬–২৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গেছে ৯৯ টন ইলিশ এবং আখাউড়া বন্দর দিয়ে গেছে আরও ৩৭ টন। অর্থাৎ মোট রফতানি হয়েছে ১৩৬ টন, যা অনুমোদিত পরিমাণের তুলনায় মাত্র ১১.৩%। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর ইলিশের দাম বেশি, ফলে রফতানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে।প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৫২৫ টাকা। রফতানিকারকদের মতে, সীমিত সময়ের মধ্যে পূর্ণ কোটা রফতানি করা কঠিন হবে। একজন রফতানিকারক বলেন, “রফতানি কার্যক্রম শুরু হতে সময় লেগে যায়। আবার বন্দরে জট এবং অনুমতির জটিলতা থাকায় স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো পরিমাণ রফতানি কঠিন।” ২০২৪ সালে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২,৪৫০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দেশে ইলিশের উৎপাদন অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় কম হলেও, বিশেষ কূটনৈতিক বিবেচনায় ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়ে আসছে সরকার।মূলত দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। (১৬–২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) বন্দর রফতানিকৃত ইলিশ (মেট্রিক টন),বেনাপোল ৯৯ টন,আখাউড়া ৩৭ টন। মোট ১৩৬ টন।
আন্ত/এসবিডাব্লিউ