ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি কার্যকর, উভয় পক্ষকে ‘ভঙ্গ না করার’ অনুরোধ ট্রাম্পের

আন্তঃবাণী প্রতিবেনঃ

দীর্ঘ ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি উভয় দেশকে অনুরোধ করেছেন, "THE CEASEFIRE IS NOW IN EFFECT. PLEASE DO NOT VIOLATE IT!" – অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর, দয়া করে এটি ভঙ্গ করবেন না।

এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরান থেকে ছয়টি দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যা ইসরায়েলের বিয়ার শেভা শহরে আঘাত হানে। ইসরায়েলের জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিশ্চিত করেছে, ওই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণার আগে তেল আবিব ও বিয়ার শেভার আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা এসএনএন জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইরান তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, যদি ইসরায়েল তাদের ‘অবৈধ আগ্রাসন’ বন্ধ করে, তাহলেই কেবল তেহরান যুদ্ধ থামাবে।

হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করে যুদ্ধবিরতির শর্ত স্থির করেছেন। শর্ত অনুযায়ী, ইরান যদি আর হামলা না চালায়, তাহলে ইসরায়েলও আক্রমণ চালাবে না।

ট্রাম্প আরও বলেন, “যদি সবকিছু ঠিকভাবে চলে — যা চলবেই — তাহলে আমি উভয় দেশকে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই যুদ্ধের নাম হওয়া উচিত ‘১২ দিনের যুদ্ধ’। এটি বন্ধ করতে যারা সাহস, ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তা দেখিয়েছে, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।”

এই সংঘাতের সূচনা ও পরিণতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশের সামরিক কর্মকাণ্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংঘাতের হঠাৎ অবসান — এই সব কিছুই এক অনিশ্চিত মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এবি/সিএস