ইরানের প্রতিশোধ: মার্কিন ঘাঁটিতে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা

২৩ জুন সোমবার কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারল ইরান। এ হামলাকে ইরান জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের পারমাণবিক ল্যাবগুলোতে আমেরিকার বোমাবর্ষণের ‘প্রত্যুত্তর’।

Jun 24, 2025 - 00:04
Jun 24, 2025 - 00:05
 0  7
ইরানের প্রতিশোধ: মার্কিন ঘাঁটিতে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা

আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ

২৩ জুন সোমবার কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারল ইরান। এ হামলাকে ইরান জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের পারমাণবিক ল্যাবগুলোতে আমেরিকার বোমাবর্ষণের ‘প্রত্যুত্তর’।

দোহার আল উদেইদ বিমানঘাঁটি ছিল মূল টার্গেট, যেখানে বর্তমানে ১০,০০০-এর বেশি মার্কিন সেনা এবং শতাধিক সামরিক বিমান ও ট্যাঙ্কার মোতায়েন রয়েছে। আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যদিও মার্কিন ‘প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। হামলার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।

ইরানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইসরায়েলের আড়ালে না থেকে আমেরিকা সরাসরি আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে, এর পরিণতি ওদেরই ভোগ করতে হবে। আমরা দুই বছর দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি।”

জাতিসংঘে ইরানি মিশন ঘোষণা করে, এই হামলার দায় কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়— ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) মহাপরিচালককেও বহন করতে হবে।

ট্রাম্প শনিবার রাতে ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালান। পরদিন রোববার তিনি ‘শাসন পরিবর্তনের’ ইঙ্গিত দিয়ে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় ইরান থেকে সতর্কবার্তা আসে, “আমরা ৫০,০০০ আমেরিকান সেনাকে কফিনে ভরে ওয়াশিংটনে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত।”

এদিকে সোমবার ইসরায়েলও ‘শাসক গোষ্ঠীকে’ লক্ষ্য করে তেহরানে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। ইরানের দাবি, এতে বিপুল সংখ্যক রেভল্যুশনারি গার্ড সদস্য নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এবি/সিএস