ইজ়রায়েলি হামলায় স্ত্রী সহ নিহত ইরানের আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানী
বেসামরিক অঞ্চলে নিশানা করে চালানো হামলায় নিহত হলেন ইরানের অন্যতম শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী সইদ ইসার তাবাতাবায়েই। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, বোমা ফেটে দু’জনেই প্রাণ হারালেন। উড়ে গেল গোটা বাড়ি।

আন্তঃবাণী সংবাদদাতাঃ
ইজ়রায়েলের লাগাতার বিমান হানায় ফের রক্তাক্ত হল ইরান। বেসামরিক অঞ্চলে নিশানা করে চালানো হামলায় নিহত হলেন ইরানের অন্যতম শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী সইদ ইসার তাবাতাবায়েই। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, বোমা ফেটে দু’জনেই প্রাণ হারালেন। উড়ে গেল গোটা বাড়ি।
ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম ‘তেহরান টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাবাতাবায়েই ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ গবেষক ছিলেন। তাঁর বাড়িতেই আছড়ে পড়ে ইজ়রায়েলের বোমা। নিঃশেষ হয় তাঁর পরিবার।
এই নিয়ে চলতি সংঘর্ষে মোট ১০ জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। আগেই ইজ়রায়েল একাধিকবার হুমকি দিয়েছিল ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে "সার্জিকাল স্ট্রাইক" চালানোর। এবার তা কার্যকর করে চলেছে—নির্ভুলভাবে খুঁজে বার করে হত্যা করা হচ্ছে কৌশলগত গুরুত্বসম্পন্ন বিজ্ঞানীদের।
বিগত ১৩ জুন থেকে ইরান-ইজ়রায়েল মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ইজ়রায়েলের দাবির ভিত্তি—ইরান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি ভেঙে গোপনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা ভবিষ্যতের পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি করে। যদিও তেহরান বারবার বলেছে, তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বার্থে।
এই প্রেক্ষিতে ফের উত্তপ্ত হয়েছে পশ্চিম এশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজ়রায়েলি অবস্থানকে সরাসরি সমর্থন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “ইরান যদি নতুন পরমাণু চুক্তি না মানে, আরও ভয়াবহ হামলা চলবে।” তাঁর কথায়, “তখন আর কিছুই আস্ত থাকবে না।”
ইতিমধ্যেই ইরানও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। সীমান্ত সংলগ্ন ইজ়রায়েলি সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই সংঘর্ষ পশ্চিম এশিয়ায় এক ভয়াবহ পরমাণু সংকটের দিকেই এগোচ্ছে।
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ শান্তি বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও কোনও পক্ষই এখনই আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দেয়নি। পরিস্থিতি যে আরও অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে প্রতিদিনের নতুন হামলা ও মৃত্যুতে।
এবি/সিএস