ইসরায়েল-ইরান সংঘাত চরমে: কুদস বাহিনীর ভেটেরান কমান্ডার নিহত, দুই দেশেই পাল্টাপাল্টি হামলা
কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, "ইযাদির মৃত্যু ইসরায়েলি গোয়েন্দা এবং বিমানবাহিনীর জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিলেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার আগেই।" এই হামলাই গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়।
আন্তঃবাণী প্রতিবেদনঃ
ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, তারা ইরানের অভ্যন্তরে সফলভাবে হত্যা করেছে কুদস বাহিনীর প্যালেস্টাইন কর্পসের প্রধান, বর্ষীয়ান ইরানি কমান্ডার সাঈদ ইযাদিকে। ইরানের কোম শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে চালানো এক সুনির্দিষ্ট হামলায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, "ইযাদির মৃত্যু ইসরায়েলি গোয়েন্দা এবং বিমানবাহিনীর জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিলেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার আগেই।" এই হামলাই গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, কোম শহরে ইসরায়েলি হামলায় একজন ১৬ বছরের কিশোর নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছে। অন্যদিকে খোররামাবাদ শহরে আরও পাঁচজন আইআরজিসি (ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী)-এর সদস্য নিহত হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে সাঈদ ইযাদির নাম ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে জানা যায়, ইসরায়েল ইরানের অন্যতম প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা ইসফাহানকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে, যদিও কোনো ক্ষতিকর পদার্থ লিক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে ইসরায়েল ঘোষণা দেয়, তারা ইরানের বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম ও উৎক্ষেপণ স্থাপনায় ঢেউয়ের মতো হামলা চালিয়েছে। সেইসঙ্গে ইরান থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় তেলআবিবসহ ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বাজে বিমান হামলার সাইরেন, যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। কোনো হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলি শামখানি দাবি করেছেন, তিনিও একটি ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "আমার ভাগ্যে ছিল আহত শরীর নিয়ে বেঁচে থাকা, যাতে আমি শত্রুর ক্রোধের কারণ হয়ে থাকতে পারি।"
সংঘাতের মধ্যে ইরান জানিয়েছে, তারা আমেরিকার সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনায় যাবে না, যতক্ষণ না তারা ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান শুরু করে, অভিযোগ তুলে যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে। ইরান অবশ্য বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।
এবি/সিএস
