বেগুন: উপেক্ষিত এই সবজির পেছনে লুকিয়ে আছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ
পুরো বছর জুড়েই দেশের বাজারে বেগুনের দেখা মেলে। তবে শীতে এবং রোজার মাসে বেগুনের কদর বেড়ে যায় বহু গুন, আবার শীতকালে বাজারে কয়েক ধরণের বেগুন দেখা যায়। নানা রকম রান্নায় বেগুন ব্যবহৃত হলেও, আমাদের অনেকেই জানি না এই সাধারণ সবজিটির রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।

বেগুন— একটি অতি পরিচিত ও সহজলভ্য সবজি। পুরো বছর জুড়েই দেশের বাজারে বেগুনের দেখা মেলে। তবে শীতে এবং রোজার মাসে বেগুনের কদর বেড়ে যায় বহু গুন, আবার শীতকালে বাজারে কয়েক ধরণের বেগুন দেখা যায়। নানা রকম রান্নায় বেগুন ব্যবহৃত হলেও, আমাদের অনেকেই জানি না এই সাধারণ সবজিটির রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।
আসুন দেখে নেই অতি সাধারণ বেগুনের বহু গুন—
পুষ্টিবিজ্ঞানিদের ভাষায়ঃ বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে (Nasunin) নাসুনিন নামে একটি উপাদান, যা মস্তিষ্কের কোষ রক্ষা করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এছাড়াও বেগুনে আছে—
ফাইবারঃ যা হজমে সহায়তা করে ও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে,
পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ঃ যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে
লো-ক্যালোরিঃ যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
পলিফেনলসঃ যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে
বিজ্ঞানিদের নানান গবেষণায় দেখা গেছে, বেগুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানসমূহ শরীরে ফ্রি র্যাডিকেল কমিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
তবে, অনেকেই ভাজা বেগুন বেশি খেয়ে ফেলেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা বলে থাকেন বেগুন ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করাই ভালো, এতে করে এর স্বাস্থ্যগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই বেগুন খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ভাপা, ঝোল বা গ্রিল করা।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ:
সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকায় অন্তত ২-৩ বার বেগুন রাখতে পারলে দেহে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি সহজেই পূরণ হতে পারে।
এই সবজিটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লে, হয়তো আর একে “গরিবের সবজি” বলে অবহেলা করা হবে না। বরং, এটি হয়ে উঠবে সুস্থ জীবনের এক নির্ভরযোগ্য অংশ। তাই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত বেগুন রাখুন, সুস্থ্য থাকুন।