২৩ গুণ বেড়েছে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ, গড়ে উঠছে টাকার পাহাড়
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত ২৩ গুণ বেড়েছে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বছরে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর, আশঙ্কা অর্থ পাচারের

আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত ২৩ গুণ বেড়েছে ২০২৪ সালে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বছরে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর, আশঙ্কা অর্থ পাচারের
২০২৪ সালে, যখন বাংলাদেশজুড়ে চলেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, ঠিক সেই সময় সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত বার্ষিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে মোট পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।
মাত্র এক বছরে ২৩ গুণ প্রবৃদ্ধি
২০২৩ সালের শেষে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ২৩ গুণের বেশি। এর আগের বছর, ২০২২ সালের শেষে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।
ব্যাংকের অর্থের উৎস ও সন্দেহ
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে যে অর্থ দেখানো হয়েছে, তার ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক লেনদেন, আমানতকারী অর্থ এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের বিনিয়োগের অর্থ।
তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য আদায়ে ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা
বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) কয়েক দফায় সুইজারল্যান্ডের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো ব্যক্তির নাম বা সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। সুইস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবৈধ অর্থপ্রবাহের যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে তারা সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান অন্য দেশের নামে অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন, তাদের তথ্য এই পরিসংখ্যানে আসেনি। একইভাবে, সুইস ব্যাংকে রাখা স্বর্ণ, শিল্পকর্ম বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্য এই হিসাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
এবি/এসবি