আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে নারীর সরাসরি ভোটের দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৭৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী ছিলেন মাত্র ৪০ জন। ১৯৯৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৬ জনে। ২০০১ সালে ১ হাজার ৯৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী ছিলেন ৩৮ জন এবং ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫৯। এসব তথ্য থেকেই স্পষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের মনোনয়নে আগ্রহী নয়।
আন্তঃবাণী ডেস্কঃ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০০ আসনে নারীর সরাসরি নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে নাগরিক কোয়ালিশন। শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ দাবি তুলে ধরা হয়। এতে নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব, রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বৈষম্যসহ নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচকরা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনেও নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে নারীদের আরও বেশি স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করে বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল খুবই কম, যা নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বড় বাধা।
তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৭৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী ছিলেন মাত্র ৪০ জন। ১৯৯৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৬ জনে। ২০০১ সালে ১ হাজার ৯৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী ছিলেন ৩৮ জন এবং ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫৯। এসব তথ্য থেকেই স্পষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের মনোনয়নে আগ্রহী নয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ১০০ আসনে নারী প্রার্থীকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার দাবি জানায় নাগরিক কোয়ালিশন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো যেন মনোনয়নে ৩০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে, সে দাবিও তুলে ধরা হয়।
আলোচনায় অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, নারীর জন্য আলাদা নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পদে নারীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করাসহ বিষয়গুলোতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দৃশ্যমান পদক্ষেপ জরুরি। তারা বলেন, কেবল সংরক্ষিত আসনে নয়, সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমেই নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন সম্ভব।
এবি/এসএফ
