নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, আহত ১০
নরসিংদীর সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাদেক মিয়া (৩৫) নামে যুবদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন,

নরসিংদী প্রতিনিধি সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ নরসিংদীর সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাদেক মিয়া (৩৫) নামে যুবদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন, যাদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত সাদেক মিয়া অলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে এবং অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলম-এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আসাদ আলী ও তার অনুসারীরা বিএনপির শাহ আলমের সমর্থন নিয়ে এলাকায় পুনরায় প্রবেশ করে। ওই সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে সাদেক মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদ হোসেন বলেন, “আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে টহলে রয়েছে এবং তদন্ত চলছে।” এলাকাবাসী জানায়, একই ইউনিয়নে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এর আগেও ইদন মিয়া ও ফেরদৌসী বেগম নামে দুইজন নিহত হন। বারবার সংঘর্ষের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আন্ত/এসবিডাব্লিউ