হান্নান মাসুদের ছাড়িয়ে আনা সেই চাঁদাবাজ আবার গ্রেফতার।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন চাঁদাবাজির পুরনো মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম রাব্বি (২৮)। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বসিলার একটি হাসপাতালে একটি মৃত শিশু জন্ম নেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি চক্র সেখানে চাঁদা দাবির চেষ্টা চালায়। সন্ধ্যায় ওই চক্রের কয়েকজন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করে এবং একপর্যায়ে 'সমন্বয়ক' পরিচয় দিয়ে মব তৈরি করে ক্লিনিক ঘেরাও করে। ক্লিনিকের মালিক শিল্পী আক্তার বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে পাঁচজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন:সাইফুল ইসলাম রাব্বি (২৮),হাসিবুর রহমান ফরহাদ (৩১),আবদুর রহমান মানিক (৩৭),আবু সুফিয়ান (২৯),মো. শাহিন (৩৮)। হাসপাতালটির মালিক শিল্পী আক্তার জানান, “একটি মৃত শিশু প্রসবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন ব্যক্তি প্রথমে আমাকে ও আমার ছেলেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা আরও লোকজন নিয়ে এসে নিজেদের 'সমন্বয়ক' পরিচয়ে আমার হাসপাতালে প্রবেশ করে। পরে সেনাবাহিনী এসে তাদের আটক করে।” তিনি আরও বলেন, তিনি মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক জানান, “চাঁদাবাজির ঘটনায় সেনাবাহিনী পাঁচজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। বাদীর আবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম রাব্বির বিরুদ্ধে এর আগেও একই ধরনের মামলা রয়েছে।” এর আগে, চলতি বছরের ১৯ মে রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একদল ব্যক্তি রাজধানীর ধানমন্ডিতে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসা ঘেরাও করে, তাকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়। সে সময় রাব্বিসহ কয়েকজন 'সমন্বয়ক' পরিচয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে। পরদিন বৈষম্যবিরোধী নেতা হান্নান মাসুদ ধানমন্ডি থানায় গিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে রাব্বিসহ বাকিদের ছাড়িয়ে আনেন। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবে না, এই শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সাইফুল ইসলাম রাব্বি ও তার সহযোগীরা একাধিকবার চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এর আগে তারা রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে ছাড় পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।