নারী নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র: অর্ধ বছরে ধর্ষণ ৪৮১, হত্যা ৩২০
নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা: জানুয়ারি-জুনে নির্যাতনের শিকার ১,৫৫৫ জন

নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা: জানুয়ারি-জুনে নির্যাতনের শিকার ১,৫৫৫ জন
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে ৭৩৬ জন কন্যাশিশুসহ মোট ১,৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতনবিষয়ক ছয় মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৮১ জন নারী, যার মধ্যে ৩৪৫ জন শিশু।
ধর্ষণের মধ্যে ১০৬ জন নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬২ জন শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭ জন নারীকে, যার মধ্যে ১০ জনই শিশু।
এছাড়া যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৫১ জন নারী, যাদের মধ্যে ৩৫ জন শিশু। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৩৪ জন নারী, এর মধ্যে ২৫ জন শিশু। হত্যার শিকার হয়েছেন ৩২০ জন নারী ও শিশু, যার মধ্যে ৬১ জন শিশু রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র জুন মাসেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৭ জন কন্যাশিশুসহ মোট ২০৩ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৫ জন, যার মধ্যে ৪৩ জন শিশু। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮ জন নারী, যার মধ্যে ৫ জন শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে, যার মধ্যে ২ জন শিশু।
জুন মাসে উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৫ জন নারী, যাদের মধ্যে ২ জন আত্মহত্যা করেছেন। একই মাসে হত্যা করা হয়েছে ৬৮ জন নারী ও শিশু, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এসিডদগ্ধ হয়েছেন ১ জন নারী, অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৩ জন, যার মধ্যে ২ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া জুন মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছেন ১ জন নারী, পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬ জন। আত্মহত্যা করেছেন ২২ জন নারী ও শিশু। অপহরণের শিকার ২ শিশু, সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগী ১ জন নারী এবং বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২টি। অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭ জন শিশুসহ ৯ জন নারী।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি এই প্রতিবেদনটি দেশের ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনটি ১ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এবি/এসবি