ট্রাম্পকে শান্তির নোবেলে মনোনয়ন দেওয়ার পরদিনই ইরান হামলায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে ফোন করে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ
ইসলামাবাদ: একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের ঠিক পরদিনই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ঘটনায় দেশটি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “ইরানের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনের ফলে যে নজিরবিহীন উত্তেজনা ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে, তা গভীর উদ্বেগজনক। এই সংকটের একমাত্র সমাধান কূটনীতি—হামলা নয়।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সংঘর্ষ বাড়তে থাকলে তা কেবল অঞ্চলের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।
এর আগে শনিবার, পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে "একজন প্রকৃত শান্তিপ্রেমী" হিসেবে অভিহিত করে জানায়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গত মাসের চার দিনের যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্প যে ভূমিকা রেখেছেন, তা "চমৎকার কৌশলগত দূরদর্শিতা ও অনন্য রাষ্ট্রনায়কত্বের" পরিচয়।
তবে এই মনোনয়নের পরদিনই ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিলে পুরো পাকিস্তান জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে ফোন করে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে রোববার হাজার হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা একটি বড় আমেরিকান পতাকায় ট্রাম্পের ছবি এঁকে রাস্তায় পেতে দেন, যাতে লোকজন তার ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তারা স্লোগান দেয়—“আমেরিকা ধ্বংস হোক”, “ইসরায়েল নিপাত যাক”, “ভারতের ষড়যন্ত্র রুখে দাও”।
তবে এই পরস্পরবিরোধী অবস্থান—একদিকে ট্রাম্পের প্রশংসা এবং অন্যদিকে তার নিন্দা—নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তথ্যমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবি/সিএস