সুইস ব্যাংকে টাকা জমা দেখে মন খারাপ হয়েছে: মির্জা ফখরুল
সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়েছে। সেখানে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি, কিছু বিষয়ে একমত হয়নি। যেগুলোতে এখন একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো ভবিষ্যৎ সংসদে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।
আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুইস ব্যাংকে দেশের লুটপাট করা বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে, যা দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে এবং রাষ্ট্রের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় ২০২৪ সালে প্রচুর টাকা পাচার হয়েছে। কী পরিমাণ অর্থ লুট হয়েছে, তার প্রমাণ এখন স্পষ্ট। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর—নির্বাচন ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ—সবকিছুই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, এসব ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে বের করে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে। সেই উদ্যোগে আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লন্ডন বৈঠক ও ঐকমত্য
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “লন্ডন বৈঠকে Nobel বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে। এতে করে নতুন করে আশাবাদী হয়েছি আমরা।”
তিনি জানান, নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি ৩১ দফা পরিকল্পনা দিয়েছে এবং যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়েও আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে।
নির্বাচন ও ঐকমত্য কমিশন
সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়েছে। সেখানে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি, কিছু বিষয়ে একমত হয়নি। যেগুলোতে এখন একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো ভবিষ্যৎ সংসদে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।”
এনসিপির নিবন্ধন প্রসঙ্গে
নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির নিবন্ধনের আবেদনের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “তাদের আগেও স্বাগত জানিয়েছি, আবারও জানাচ্ছি। তাদের তরুণ নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল একত্রে সহযোগিতা করবে এবং একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
এবি/ এসএফ
