লালমাই উপজেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সসদ্য সচিব অপহরণ করতে গিয়ে আটক!ছাড়িয়ে নিলেন বিএনপি নেতা।
লালমাই উপজেলায় একজন মেয়েকে অপহরণ করতে যায় উপজেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সদস্য সচিব হাবিবসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গতকাল রোজ শুক্রবার রাত ৯ ঘটিকার সময় লালমাই উপজেলায় একজন মেয়েকে তুলে আনতে যায় উপজেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সদস্য সচিব হাবিব উল্লাসহ(ভুশ্চি,বারাইপুর) তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এই সময় স্থানীয় জনতা হাবিবসহ ৯ জন কে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয় অনেকেই এটাকে ডাকাতির ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আসল ঘটনা বের হয়ে আসে।পুলিশ জানতে পারে এই চক্রটি মেয়েটিকে তুলে আনতে সংঘবদ্ধভাবে উপজেলার শংকুর পাড় গ্রামে মেয়েটির ভগ্নিপতির বাড়িতে হানা দেয়।এই সময় স্থানীয় জনতা চক্রটির ৯ জন কে আটক করে উত্তম মাধ্যম দেয়। খবর শুনে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ দ্রুত ঘটনাস্থলে এস আই জোনাব আলীর নেতৃত্বে একটি টিমকে প্রেরণ করে ৯ আসামীকে গ্রফতার দেখিয়ে থানায় নিয়ে আসে।কিন্তু পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মির ইউসুফ আলী পিন্টুর মধ্যস্থতায় ছাত্রদলের সদস্য সচিবসহ ৪ জন কে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ইসমাইল,সবুজ,নাহিদ রানা,নাহিদ ও আজাদসহ মোট ৫ জন কে ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জোনাব আলী।
এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "ঘটনা শুনে ছাত্রদলের নেতারা সেটা মিমাংশা করতে যায়।স্থানীয়রা ভুল বুঝে তাদেরকেও আটক করে।কেউ সমস্যা সমাধান করতে গেলে তো তাকে গ্রেফতার দেখানো যায় না।" এই ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সাংবাদিক বলেন, হাবিবের বাড়ি ভুশ্চি থেকে শংকুর পাড়ের দুরুত্ব প্রায় ৮-৯ কিলোমিটার। ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই সে কি করে স্পটে চলে আসে এটা বুঝা গেলো না।" স্থানীয়রা বলছেন এত বড় একটি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া কোনভাবেই সুন্দর ও মানবিক সমাজ ব্যবস্থার পরিচয় বহন করেনা।যাদেরকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে তাদের সামাজিকভাবে বিচার হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ!
টাকার বিনিময়ে এমন চিহ্নিত অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষ্যয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।