গলে মুশফিকের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন: ব্যাটে ঝলসে উঠল শতরান
১৭৬ বলে শতক পূর্ণ করে দেশের জন্য নিঃশব্দে কিন্তু দৃপ্ত প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক।
স্পোর্টস ডেস্কঃ
সময় যেন অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছিল। অতীতের নির্ভরতার প্রতীক, বাংলাদেশের ব্যাটিং কক্ষপথের এক প্রাজ্ঞ নাবিক মুশফিকুর রহিম—তিনি যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের চেনা ছন্দ। দীর্ঘদিন অপেক্ষা, সমালোচনার ভার আর নিজের নিঃশব্দ লড়াই শেষে, শ্রীলঙ্কার গল-এ আজ সেই নাবিক আবারও হাল ধরলেন, ঠিক যেন বৃষ্টিভেজা আকাশে হঠাৎ ফুঁসে ওঠা রোদ্দুর।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরিটি আজ যেন মুশফিকের ব্যাট থেকে নয়, এসেছিল তার মনের গভীর থেকে। পাকিস্তানের মাটিতে শেষ শতরানের পর এক দীর্ঘ নিরবতা, যা ভেঙে গেল লঙ্কানদের বিপক্ষে গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে। ১৭৬ বলে শতক পূর্ণ করে দেশের জন্য নিঃশব্দে কিন্তু দৃপ্ত প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
বাংলাদেশ এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পড়ে যায় চাপে। এনামুল হক বিজয় দশ বলেই ফিরেন খালি হাতে। সাদমান ইসলামও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৪ রান। ক্রিজে এসে খানিকটা প্রতিরোধ গড়েন শান্ত ও মুমিনুল, কিন্তু মুমিনুলের বিদায়ে আবার টালমাটাল অবস্থা। সেখানেই দৃঢ় হয়ে দাঁড়ালেন শান্ত এবং মুশফিক। ধৈর্য, মেধা ও অভিজ্ঞতার দুর্দান্ত মিশেলে তৈরি হলো একটি সোনালি জুটি।
দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক, তারপর শতরান। শান্ত ২০২ বলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, মুশফিক তুলে নেন নিজের অভিজ্ঞতায় মোড়া এক নিখুঁত ইনিংস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৮৬ ওভারে ৩ উইকেটে ২৮০। মুশফিক ১০০* ও শান্ত ১২৯* রানে অপরাজিত থেকে এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে এক বড় সংগ্রহের দিকে।
এই ইনিংস শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং একটি বার্তা—অভিজ্ঞতা কখনো পুরোনো হয় না, সেটি সময়মতো নিজেকে জানান দেয়, যেমনটা করলেন মুশফিকুর রহিম।
এবি/সিএস
