আজ আন্তর্জাতিক কৌতুক দিবস: চাপের মধ্যে হাসির এক অনন্য উৎসব
আজ ১ জুলাই, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কৌতুক দিবস। এই বিশেষ দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে মানবজীবনের সবচেয়ে সহজ অথচ সবচেয়ে জরুরি অনুভূতি—হাসি ও হাস্যরসকে।

আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ
আজ ১ জুলাই, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কৌতুক দিবস। এই বিশেষ দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে মানবজীবনের সবচেয়ে সহজ অথচ সবচেয়ে জরুরি অনুভূতি—হাসি ও হাস্যরসকে। প্রতিদিনের ব্যস্ততা, মানসিক চাপ আর একঘেয়েমির ভিড়েও মানুষ যাতে কিছুটা সময় বের করে হাসতে পারে—এটি-ই এই দিবসের মূল বার্তা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘হাসিই সর্বোত্তম ওষুধ’, আর সেই হাসি ছড়িয়ে দিতে কৌতুক এক শক্তিশালী মাধ্যম। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত কয়েক মিনিটের নির্মল হাসি মানুষের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা দুশ্চিন্তা, হতাশা ও একাকীত্ব দূর করতে সহায়তা করে। তাই কৌতুক শুধু বিনোদন নয়, এক প্রকার থেরাপিও বটে।
দিবসটি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও চলছে নানা রকম উদযাপন। ফেসবুক, টুইটার আর ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য মিম, জোকস আর ভিডিও কন্টেন্ট। বিশেষত তরুণ প্রজন্ম এই ট্রেন্ডে মেতেছে নিজস্ব স্টাইলের হাস্যরসে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন অনলাইন পেজ, গ্রুপ ও স্ট্যান্ডআপ কমেডি প্ল্যাটফর্ম এদিন নানা ধরনের অনলাইন শো, লাইভ সেশন ও মজার কনটেন্ট ছাড়ছে। অনেকেই বন্ধুদের ট্যাগ করে কৌতুক শেয়ার করছেন, আবার অনেকে নতুন নতুন কৌতুক লিখে পোস্ট করছেন।
মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই এই দিবসের প্রকৃত সার্থকতা—এমনটাই মনে করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার পরামর্শ দিচ্ছেন, কৌতুক যেন হয় সুস্থ ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য, যাতে কারও অনুভূতিতে আঘাত না লাগে।
সবমিলিয়ে হাস্যরসের এমন এক আন্তর্জাতিক দিন নতুন প্রজন্মকে কিছুটা হালকা হতে, হাসতে এবং আশেপাশের মানুষকেও হাসাতে শেখায়—এ যেন বিনামূল্যের এক মানসিক টনিক।
সবাইকে আন্তর্জাতিক কৌতুক দিবসের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা!
এবি/সিএস