গুম বিষয়ে আইন হচ্ছে, আইনের আওতায় কমিশন গঠনের পরিকল্পনা: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা বলেন, “গুমবিষয়ক আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এ উদ্যোগকে ডব্লিউজিইআইডি প্রশংসা করেছে। তারা কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছে।”
গুম প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই আইনের আওতায় একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস (ডব্লিউজিইআইডি)-এর দুই প্রতিনিধি—গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ—আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা বলেন, “গুমবিষয়ক আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এ উদ্যোগকে ডব্লিউজিইআইডি প্রশংসা করেছে। তারা কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছে।”
তিনি জানান, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পাশাপাশি ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের একটি অধ্যাদেশও আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আইন প্রণয়নের সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, “আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে এটি অধ্যাদেশ আকারে বাস্তবায়ন হবে।”
এ সময় ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’ কমিশন গঠনের সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন অধ্যাপক নজরুল। জানান, এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এখন দ্বিতীয় ধাপে একটি আঞ্চলিক পরামর্শ সভার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এ ছাড়া তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় দেশের রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, ছাত্রসহ সব অংশীজনের মতামত নেওয়া হবে। আইন উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করা সম্ভব হবে।
এবি/এসএফ
