আসিম মুনির স্যুট পড়া “ওসামা বিন লাদেন”

আসিম মুনিরকে স্যুট পড়া “ওসামা বিন লাদেন” বলে তিরষ্কার করলেন সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন । পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের পারমাণবিক হুমকি আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

Aug 12, 2025 - 18:47
Aug 12, 2025 - 18:49
 0
আসিম মুনির স্যুট পড়া “ওসামা বিন লাদেন”

আন্তঃবাণী ডেস্ক:

সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক পারমাণবিক বোমা হামলার হুমকিকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ একপ্রকার “একটি ঘাতক রাষ্ট্রের মতো” আচরণ করছে এবং যুদ্ধ উস্কানির মাধ্যমে বিশ্বকে ঝুঁকিতে ফেলছে। রুবিন আসিম মুনিরকে তুলনা করেছেন ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পেছনের মস্তিষ্ক ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে। তাঁর মতে, মুনিরের মন্তব্যগুলি ইসলামী রাষ্ট্রের সন্ত্রাসীদের বক্তব্যের মতই অশান্তিকর।

বিষয়টি হলো, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির সম্প্রতি একটি বৈঠকে বলেন, “যদি পাকিস্তান ধ্বংস হয়, তবে সে সাথে বিশ্বর অর্ধেককে সঙ্গে নিয়ে যাবে।” এই বক্তব্যটি তিনি টাম্পা, ফ্লোরিডায় আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দিয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ভারত সরকার ওই পারমাণবিক হুমকিকে কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমাণবিক আগ্রাসন পাকিস্তানের ‘স্টক-ইন-ট্রেড’, এবং এই ধরনের মন্তব্য একটি বন্ধু দেশ থেকে হওয়ায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আসিম মুনির স্যুট পড়া “ওসামা বিন লাদেন”, আমেরিকান মাটিতে পাকিস্তানের এই হুমকি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।”

তিনি আরও বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয় পাকিস্তানকে মেজর নন-ন্যাটো মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা।”
রুবিন দাবি করেছেন, “পাকিস্তানকে অবশ্যই ‘সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা উচিত এবং তাকে আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সদস্য করা উচিত নয়।”

কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপ দাবি করে তিনি বলেন, “আসিম মুনিরকে যুক্তরাষ্ট্রে 'পার্সোনা নন গ্রাটা' ঘোষণা করা হোক এবং তাকে কখনও আমেরিকান ভিসা দেওয়া না হোক। পাশাপাশি পাকিস্তানের অন্য সকল কর্মকর্তাকেও এই পদক্ষেপের আওতায় আনা উচিত, যতক্ষণ না পাকিস্তান নিজেকে পরিষ্কার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে।”বিশ্বের সামরিক এবং কূটনৈতিক মহলে এ ঘটনা নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির বিপরীতে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আরও বেশি কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

 এবি/এএ