শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৩৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হারিয়েছিল পারভেজ হোসেনকে। কিন্তু ওপেনার তানজিদ হাসান শুরু থেকেই ছিলেন দৃঢ়চেতা। ইনিংসের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম হয়ে ওঠেন এই তরুণ। ৪৭ বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে মেরেছেন ৬টি ছক্কা, ১টি চার। ব্যক্তিগত ৬০ রানে জীবন পেয়েই তানজিদ নিশ্চিত করেছেন জয়ের পথে আর কোনো বিপদ না আসে।

স্পোর্টস ডেস্কঃ
শেষ ম্যাচ, শ্রীলঙ্কার মাটি, দুই দলের মধ্যে সিরিজ নির্ধারণী লড়াই—সব মিলিয়ে একরকম ফাইনালের আবহ। আর এই ফাইনালে হেসেখেলে ইতিহাস গড়ে ফিরল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কলম্বোতে তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের মাটিতে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতল লাল–সবুজের দল।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৩৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হারিয়েছিল পারভেজ হোসেনকে। কিন্তু ওপেনার তানজিদ হাসান শুরু থেকেই ছিলেন দৃঢ়চেতা। ইনিংসের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম হয়ে ওঠেন এই তরুণ। ৪৭ বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে মেরেছেন ৬টি ছক্কা, ১টি চার। ব্যক্তিগত ৬০ রানে জীবন পেয়েই তানজিদ নিশ্চিত করেছেন জয়ের পথে আর কোনো বিপদ না আসে।
তানজিদের সঙ্গে ব্যাট হাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। শেষ পর্যন্ত তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসা এক রানই বাংলাদেশকে এনে দেয় শ্রীলঙ্কা বধের পূর্ণতা।
তবে ম্যাচের আসল নায়ক ছিলেন বল হাতে স্পিনার মেহেদী হাসান। মিরাজের বদলি হিসেবে একাদশে ঢুকে নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেন তিনি। চার ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে শিকার করেন ৪ উইকেট—টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। পাওয়ার প্লেতেই লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপকে ছিন্নভিন্ন করে দেন মেহেদী। এরপর বাকিরা ধরে রাখে সেই চাপ।
মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান চেয়েছেন সঙ্গ দিতে। মোস্তাফিজ নিয়েছেন ১ উইকেট, রান দেন মাত্র ১৭।
প্রথমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জেতার উল্লাসে আজ মুখর বাংলাদেশ শিবির। দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের দুঃখ ঘোচাল এই ট্রফি। আর তরুণ তানজিদ–মেহেদীর হাত ধরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
এবি/সিএস