ইরান ইস্যুতে দ্বিচারিতার অভিযোগে বিদ্ধ পাকিস্তান

অন্য অংশের দাবি, সব জেনেই তিনি এই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন— হয়তো মোটা অর্থের বিনিময়ে। ফলে ইরানের পিঠে ছুরি বসিয়ে আজ বিশ্বমঞ্চে তিনি যেন দ্বি-নৌকার যাত্রী।

Jun 24, 2025 - 11:06
 0  8
ইরান ইস্যুতে দ্বিচারিতার অভিযোগে বিদ্ধ পাকিস্তান

আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তাল রণাঙ্গনে নতুন করে উসকে উঠেছে ভূরাজনৈতিক উত্তাপ। ইরানের আকাশে যখন মার্কিন বোমারু ‘বি-২ স্পিরিট’-এর গর্জন, তখন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরই যেন এক অদ্ভুত কাকতালীয়তায় নাম উঠে আসে মুনিরের।

সূত্র বলছে, ওই বৈঠকে ইরান প্রসঙ্গ উঠে এলেও মুনির যুদ্ধ প্রশমনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু তার পরপরই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বালোচিস্তানের আকাশে মার্কিন বোমারু বিমানের ‘রেকি অভিযান’ নিয়ে চাউর হয়েছে সন্দেহ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সীমান্ত উন্মুক্ত না হলে সম্ভব ছিল না এ অভিযান। অর্থাৎ, মুনির হয় ‘বোকা বনেছেন’ বা ‘চুপিসারে সম্মতি দিয়েছেন’— দুইয়ের একটিতে দোষী।

ইজ়রায়েল ইতিমধ্যেই ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, যার কঠোর বিরোধিতা করেছিল পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে মুনিরের ‘ভ্রাতৃত্ববোধ’-পূর্ণ মন্তব্য আর বাস্তব পরিস্থিতির পারস্পরিক সাংঘর্ষিক চিত্রই যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতার।

পাকিস্তান এমনকি ট্রাম্পকে শান্তির দূত হিসেবে নোবেল পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করে, যা পরিস্থিতিকে আরও ধোঁয়াশায় ফেলে দেয়। এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, মুনির কি আদতে ট্রাম্পের ‘পথপ্রদর্শক পুতুল’ হয়ে উঠেছেন?

এক শ্রেণির মত, মুনিরকে না জানিয়ে তাঁকে ব্যবহার করেছে হোয়াইট হাউস। অন্য অংশের দাবি, সব জেনেই তিনি এই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন— হয়তো মোটা অর্থের বিনিময়ে। ফলে ইরানের পিঠে ছুরি বসিয়ে আজ বিশ্বমঞ্চে তিনি যেন দ্বি-নৌকার যাত্রী।

উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়া তথা ইসলামি বিশ্বে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। মুনিরের এই দ্বৈত ভূমিকা আগামী দিনে পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থানকেও তলিয়ে দিতে পারে বলেই আশঙ্কা আন্তর্জাতিক মহলের।

এবি/সিএস