ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাব: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী তহবিল বাতিলের পরিকল্পনা
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন পুরোপুরি বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন পুরোপুরি বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের বাজেট অফিসের একটি গোপন নথি অনুযায়ী, মালি, লেবানন এবং কঙ্গোতে শান্তিরক্ষী কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২২% এবং শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের ২৭% অর্থই দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যা বাধ্যতামূলক। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাজেটও অর্ধেক কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসে অনুমোদনের অপেক্ষায়।
হোয়াইট হাউজের বাজেট অফিস ‘পাসব্যাক’ নামে পরিচিত নথিতে বলেছে, ‘সিপা’ খাতে কোনো অর্থ বরাদ্দ থাকবে না, ফলে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো অর্থ দেবে না। বিকল্প হিসেবে ‘আমেরিকা ফার্স্ট অপরচুনিটিজ ফান্ড’ নামে ২.১ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হবে, যা সীমিত বিদেশি সহায়তায় ব্যয় হবে।
যদিও চূড়ান্ত বাজেট এখনও হয়নি, কংগ্রেস চাইলেই এ অর্থ ফের যুক্ত করতে পারে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। বর্তমানে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া প্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলার, যা নিয়মিত ও শান্তিরক্ষী বাজেট মিলিয়ে।
বিশ্বে শান্তিরক্ষার ৯টি মিশনে এই অর্থ ব্যবহার হয়, যার মধ্যে মালি, লেবানন, কঙ্গো ছাড়াও দক্ষিণ সুদান, পশ্চিম সাহারা, সাইপ্রাস, কোসোভো, সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্ত এবং আবিয়ে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাব কার্যকর হলে বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষার উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এবি/সিএস