যে কোন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বিশ্বব্যাপী উৎস থেকে আমদানির অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

আন্তঃবাণী ডেস্ক:
বাজারে পেঁয়াজের দাম লাগামছাড়া বৃদ্ধি ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী উৎস থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে চায় সরকার। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা। চাহিদা-যোগানের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে সাশ্রয়ী দামে পেঁয়াজ আনতে পারবেন, সেখান থেকেই আমদানি অনুমোদন দেওয়া হবে । শুধু ভারত নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকেই।”
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া মূল্যচাপ আগস্ট ২০২৫-এ এসে আরও তীব্র হয়েছে। ঢাকার বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে ৮০-৮৫ টাকায় পৌঁছেছে, যা এক মাস আগে ছিল ৫৫-৬০ টাকা। খুলনা অঞ্চলে একই সময়ে দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই উল্লম্ফন ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ও ৪০% শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়, তা ছাড়াও অতিবৃষ্টি ও সরবরাহ ঘাটতির কারণে স্থানীয় উৎপাদন থেকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে আসেনি সাথে পাইকারি পর্যায়ে মজুদ ধরে রাখা ও সরবরাহ বিলম্বের ফলে বাজারে চাপ তৈরি হয়।
পেঁয়াজের দামে লাগাম ধরতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার,ভারত ছাড়া চীন, মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ১০টি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডিসকাউন্ট মূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহ শুরু করেছিল, তবে তা সীমিত পরিসরে কার্যকর হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আমদানির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ ও সময়সূচি দ্রুত নির্ধারণ করা হবে। সরকার আশা করছে, নতুন চালান বাজারে এলে দাম সহনীয় পর্যায়ে ফিরে আসবে।
এবি/এএ