সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা, তদন্তে সিআইডি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে মানহানির মামলা করেছেন বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ

Aug 12, 2025 - 14:18
Aug 12, 2025 - 16:13
 0
সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা, তদন্তে সিআইডি

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ মামলা করেন বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)।

সম্প্রতি গাজীপুরে আলোচিত সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, একটি অপরাধী চক্রের কর্মকাণ্ড ভিডিও ধারণ করায় তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।এরইমধ্যে জিএমপি কমিশনার এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছেন এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তবুও, বাদী তানভীর সিরাজের অভিযোগ এনসিপি নেতা সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) কোনো প্রমাণ ছাড়াই বিএনপিকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ান। এতে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বাদী তানভীর সিরাজ বলেন,

“সাংবাদিক তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে কেবল একটি অপরাধী চক্রের ভিডিও ধারণের কারণে। কিন্তু সারজিস আলম সত্য যাচাই না করেই বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালিয়েছেন। জিএমপি কমিশনারের তদন্তে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। দলের নির্দেশনায় আমি এ মামলা দায়ের করেছি।”

এ মামলায় মানহানির অভিযোগে ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে।গাজীপুর কোর্ট ইন্সপেক্টর আহসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আলমগীর আল মামুনের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেন। ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিএনপির স্থানীয় নেতারা একে “পরিকল্পিত বিভ্রান্তি” হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন, অন্যদিকে এনসিপি সূত্র এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অযাচিত রাজনৈতিক মন্তব্য ও অপপ্রচার দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তেজিত করছে। এ ধরনের ঘটনায় আদালতের হস্তক্ষেপ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এবি/এসি