বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় পারমাণবিক হামলা চালাবে কে প্রথম? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উঠছে নতুন আশঙ্কা

আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ

বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে জেগে উঠেছে, আর এই শঙ্কাকে আরও গভীর করেছে এক ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা—পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মানবের নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) হাতে চলে যেতে পারে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমার যে ধারা ছিল, তা এখন থেমে গেছে। বরং এক নতুন উচ্চ-প্রযুক্তি অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, যেখানে বড় বড় পরাশক্তিগুলো আধুনিকীকরণ এবং মজুত বৃদ্ধি করছে বিপজ্জনক হারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমন সংকটকালে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পারে, তেমনি এর ভুল বিশ্লেষণ, প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা ভুল বোঝাবুঝি মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। পারমাণবিক সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য সময় থাকে মাত্র কয়েক মিনিট, আর সেই সময়েই যদি প্রযুক্তি ভুল করে, তবে গোটা মানবজাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।

SIPRI–এর পরিচালক ড্যান স্মিথ সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ব রাজনীতির এই অস্থির সময়ে আমরা একটি নতুন পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি। যদি কখনো পারমাণবিক অস্ত্র চালানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাতে দেওয়া হয়, তবে তা হবে একেবারে ডুমসডে পরিস্থিতির সূচনা।’

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ইরান ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, যা এই ঝুঁকিকে আরও ঘনীভূত করেছে। প্রশ্ন উঠেছে—এই উত্তেজনার মধ্যেই প্রথম পারমাণবিক হামলা কে চালাবে?

এই মুহূর্তে মানবজাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রযুক্তি ও নীতিনৈতিকতার মধ্যে সুষম ভারসাম্য বজায় রাখা। বিজ্ঞানীদের মতে, মানবিক বিবেচনা, কূটনৈতিক সংলাপ এবং প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা বোঝা এখন জরুরি—অন্যথায় সিদ্ধান্ত নেবে যন্ত্র, আর ভুল করলে তার মূল্য দিতে হবে গোটা পৃথিবীকে।

এবি/সিএস