শিরোনাম: “জুলাইয়ের স্বীকৃতি না পেলে আমরা কেউই নিরাপদ নই”—জবি শিক্ষক রইছ উদ্দীন
অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ, আহত এবং পঙ্গুত্ববরণকারীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে তাঁদের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী এই আন্দোলনের মধ্যে যেন বিভাজন তৈরি না হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।”
আন্তঃবাণী প্রতিবেদকঃ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় ‘জুলাই বিপ্লব’কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, “জুলাইয়ের স্বীকৃতি না পেলে আমরা জুলাই যোদ্ধারা কেউই নিরাপদ নই। ভবিষ্যতে যেন এই আন্দোলনকে ‘মবোক্রেসি’ (বিশৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধতা) বলে অবজ্ঞা করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
রোববার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় 'জুলাই ঘোষণাপত্র: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভা।
অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ, আহত এবং পঙ্গুত্ববরণকারীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে তাঁদের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী এই আন্দোলনের মধ্যে যেন বিভাজন তৈরি না হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ফ্যাসিবাদের উত্থান এসেছে অবৈধ নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থার ধ্বংস থেকে। ভবিষ্যতে যাতে আর কখনো এমন শক্তির উত্থান না ঘটে, তার জন্য জবাবদিহিমূলক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।”
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বিত সহাবস্থান রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। পারস্পরিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক এবং ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক।
এবি/ এসএফ
