উপাচার্য নিয়োগে বিএনপিপন্থিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য—আওয়ামী লীগ নয়, নিষ্ক্রিয় বা নিরপেক্ষ বিএনপিপন্থীরাই পেয়েছেন অগ্রাধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ২০০৮ সালে নির্দলীয় সরকারের সময় দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য নিয়োগে ‘মৃদু বিএনপি’ বা ‘নিষ্ক্রিয় বিএনপি’ ঘরানার শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। শনিবার (২১ জুন) ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকেই—সাদা দল, নীল দল বা অন্য কিছু। তখন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নিরপেক্ষ বা মৃদু বিএনপি ঘরানার শিক্ষকদের নিয়োগের চেষ্টা করেছি।
কারণ, নির্দলীয় সরকার হিসেবে নিরপেক্ষতা রক্ষা করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।” উপদেষ্টা জানান, উপাচার্য নিয়োগে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পেতে কষ্ট করতে হয়েছিল।
এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছ থেকেও সৎ ও দক্ষ ব্যক্তিদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ফখরুলকে বলা হয়েছিল, “তোমার পরিচিত সৎ লোকদের নাম দাও” আলোচনায় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমি আমার বন্ধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেছিলাম, তোমরা এতদিন সরকার চালিয়েছ, সৎ এবং দক্ষ মানুষদের তালিকা দাও। কিন্তু তার উত্তর ছিল—গত ১৫ বছরে বিএনপির কেউ তো ক্ষমতায় আসেনি, তারা কতটা সৎ বা দক্ষ তা এখন বলা কঠিন।”
এ সময় তিনি বলেন, “উপাচার্য নিয়োগের জন্য আমার নিজের বন্ধু, সহপাঠী ও পরিচিতদের মধ্য থেকে খোঁজ করতে হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও তালিকা চাওয়া হয়েছিল।” ‘বিদায় নেওয়ার সময় আমরা কী রেখে যাচ্ছি, সেটার লিস্ট থাকবে’ আলোচনার শেষদিকে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমরা যখন বিদায় নেব, তখন আমরা কী কী করে যাচ্ছি, সেটার একটি তালিকা রেখে যেতে চাই। এটা আমাদের প্রচারণার জন্য নয়, বরং যেন পরবর্তী সরকার উদাহরণ রাখতে পারে।”
এবি/এসবিডাব্লিউ