iPad এখন পূর্নাঙ্গ কম্পিউটার !
iPad এখন পূর্নাঙ্গ কম্পিউটার . iPadOS 26 আনছে এমন সব ফিচার, যা আগে ছিল শুধুই ম্যাকে! ১৫ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে এল সেই update, iPad এখন পিসির মতো উইন্ডো চালাতে পারে! আপনি চাইলে অ্যাপের সাইজ ছোট-বড় করতে পারবেন, একটার উপর আরেকটা App চালাবেন, আর মাল্টিটাস্কিং করবেন একদম প্রফেশনাল লেভেলে।

প্রযুক্তি ডেস্ক:
১৫ বছররের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সেই জিনিসটা এলো, যেটার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিল।iPad-এ আসল, রিসাইজযোগ্য, মুভেবল উইন্ডো চালু হয়েছে। হ্যাঁ, একদম কম্পিউটারের মতো! আর এতে iPad আর আগের মতো থাকবে না ,একেবারে বদলে গেছে। Apple-এর WWDC25 ইভেন্টে, ক্রেইগ ফেডারিঘি মঞ্চে উঠে হাসিমুখে বললেন:
“এটাই সেই জিনিস, যেটার জন্য আপনারা এতদিন ধরে অপেক্ষা করছেন।”
না, এটা নতুন AI না, এটা নতুন হার্ডওয়্যারও না। এটা উইন্ডো! এটা Microsoft Windows না, বলছি সেই সত্যিকারের মাল্টিটাস্কিং উইন্ডোর কথা, যেটা ডেস্কটপ বা ম্যাকে দেখা যায়। iPadOS 26 এই fall এ আসছে, আর তার সাথেই iPad এখন একটা পুরোদস্তুর কম্পিউটারে পরিণত হতে যাচ্ছে। iPadOS 26-এ নতুন কী কী থাকছে ? যা ব্যবহারকারীদের নতুন এক্সপেরিয়েন্স দিবে ? আসুন দেখে নিই-
* স্ক্রিনে উইন্ডো মুভ করতে পারবেন
* কোণ ধরে উইন্ডোর সাইজ ছোট-বড় করতে পারবেন
* একাধিক অ্যাপ টাইল করে রাখতে পারবেন।
* একটার ওপর আরেকটা অ্যাপ চালাতে পারবেন।
আগে যেটা শুধু ফুলস্ক্রিন বা স্প্লিট স্ক্রিন ছিল, এখন সেটা হয়ে গেছে একদম পিসি লেভেলের মাল্টিটাস্কিং। আর চিন্তা করবেন না - উইন্ডোগুলোর গোঁজামিল ঠিক রাখতে Apple নিয়ে এসেছে “পরিচিত” কন্ট্রোলস মানে: Mac-এর মতো বাটন। আপনি উইন্ডোর কোণে হোভার করলেই পেয়ে যাবেন Close, Minimize আর Full Screen অপশন।এমনকি ম্যাকের পুরোনো Exposé ফিচারটাও ফিরেছে, আপনি এক ঝলকে সব খোলা অ্যাপ দেখতে পারবেন, যেটা ম্যাকে এখন Mission Control নামে পরিচিত।এতেই শেষ না। নতুন আপডেটে আপনি আরও পাবেন: ফ্লোটিং মেনু বার,ট্রেডিশনাল মাউস কার্সর, আরও ভালো “Files অ্যাপ”, Preview সাপোর্ট, অডিও ও ভিডিও ইনপুট সিলেকশন** সব মিলিয়ে, যেসব কাজের জন্য আগে ম্যাক দরকার হতো - এখন সেগুলো iPad-এই করা যাবে।
কেন এটা এত বড় ব্যাপার?
iPad অনেকদিন ধরেই “বড় iPhone” হিসেবে পরিচিত ছিল। ছোট কাজের ব্যবহার ছাড়া, এটা ছিল মূলত সোফায় বসে YouTube দেখার যন্ত্র। এমনকি iPad Pro-এর মতো পাওয়ারফুল ভার্সনেও সফটওয়্যারের সীমাবদ্ধতার কারণে কিছুই করা যেত না। কিন্তু এখন? আপনার ব্যাগে থাকা পাতলা স্ক্রিনটা এখন আপনার পরবর্তী কম্পিউটার হতে পারে। Apple একটু একটু করে অনেকদিন ধরেই এই দিকে এগোচ্ছিল। ২০২০-এ তারা Magic Keyboard এনেছিল - ট্র্যাকপ্যাডসহ। ২০২২-এ এল এক্সটার্নাল ডিসপ্লে সাপোর্ট। ২০২৪-এ ওয়েবক্যাম গেল ল্যান্ডস্কেপ মোডে। এইটাই সেই টার্নিং পয়েন্ট। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ জানতেই পারবে না এই আপডেট এসেছে! উইন্ডোগুলো ডিফল্টে চালু না করেই চালাতে পারবেন। সাধারন ব্যবহারকারীরা, যারা শুধু Netflix আর Safari চালায়, তারা হয়তো কখনোই দেখতে পাবে না ওই ছোট্ট রিসাইজ আইকনটা। কিন্তু যারা পাওয়ার ইউজার তাদের জন্য এটা এক কথায় স্বপ্নপূরণ।
স্টেজে Apple একবারও বলেনি, এই নতুন ফিচারগুলো “Mac-এর মতো।” তারা শুধু বলেছে: “পরিচিত।” তারা খুব সচেতনভাবে iPadOS আর macOS এর পার্ট আলাদা করেছে প্রেজেন্টেশনে। কারণ, Apple কখনোই চায় না iPad আর Mac একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হোক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে iPadOS 26-এর পর এই দুইটা অনেকটাই একরকম দেখতে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় iPad কি MacBook-এর জায়গা নেবে? না, MacBook Pro এর যায়গা নিতে পারবে না। কেননা সেটার পারফরম্যান্স এখনও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু MacBook Air? তা হয়ত এখন iPad Pro-এর সাথে দামে আর স্পেকসে এতটাই কাছাকাছি, যে তুলনা না করে পারা যাচ্ছে না।
আরও মজাদার বিষয় হচ্ছে এই যে আপডেট শুধু iPad Pro-র জন্য না।সাধারণ iPad আর iPad mini-তেও আসছে এই আপডেট! তবে সামনে কী আসছে? টাচস্ক্রিন ম্যাক? ২০১৮ সালে Apple স্পষ্টভাবে বলেছিল — তারা iPadOS আর macOS মিক্স করবে না। আর সবাই করতালিতে ফেটে পড়েছিল।কিন্তু এখন? iPad এতটাই ম্যাক হয়ে গেছে, যে কিছুই অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। iPad এখন আর শুধু ট্যাবলেট না। এটা সত্যিকারের কম্পিউটার। Apple ব্যবহারকারীরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন iPad কে নতুন রূপে দেখার জন্য !এবার সত্যি এটা একটা “কম্পিউটার।”
এবি/এএ