হঠাৎ দ্রুত ঘুরছে পৃথিবী, স্তম্ভিত বিজ্ঞানীরা !
গত ৫ আগস্ট পৃথিবীর ঘূর্ণন স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত হয়, ফলে দিনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৬ মিলিসেকেন্ড কমে যায়। এ ধরনের ঘটনা ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালেও চলছে। এর আগে ২২ জুলাই ও চলতি বছরের ১১ জুলাইও একই ধরনের রেকর্ড হয়েছে যেখানে ১১ জুলাই ছিল সবচেয়ে ছোট দিন।

আন্তঃবানী ডেস্ক:
গত সপ্তাহে ৫ আগস্ট এক অদৃশ্য শক্তির তাড়নায় পৃথিবীর ঘূর্ণন হঠাৎ গতি বেড়ে গেল ! আর তাতে দিনের দৈর্ঘ্য কমে গেল স্বাভাবিকের তুলনায়! ভাবুন তো এই বছর ২২ জুলাই ও ৫ আগস্ট, পৃথিবী তার এক পূর্ণ ঘূর্ণন ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের মানক সময়ের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিলিসেকেন্ড দ্রুত শেষ করেছে। একটু খানি সময়, যা চোখের পলকে মাপা যায় কিন্তু মহাজাগতিক ঘড়ির জন্য তা এক বিশাল পরিবর্তন।
এই বিরল অস্বাভাবিক প্রবণতা প্রথম ২০২০ সালে ধরা পড়ে , ২০২৫ সালে এসেও থামেনি এই ঘটনা । পারমাণবিক ঘড়ির নির্ভুল পরিমাপ জানাচ্ছে চলতি বছরের ১১ জুলাই ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট দিন।
পৃথিবীর ঘূর্ণন স্বাভাবিকভাবেই কখনো ধীর, কখনো দ্রুত হয় কিন্তু এমন ধারাবাহিক গতি বৃদ্ধি? বিজ্ঞানীরা হতবাক। কিন্তু সম্ভাব্য ব্যাখ্যা কি হতে পারে? পৃথিবীর গলিত কেন্দ্র, মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডলের জটিল মিথস্ক্রিয়া,বিষুবরেখার তুলনায় চাঁদের সূক্ষ্ম অবস্থান পরিবর্তন? তবুও, সমস্যাটা থেকে যায় এই কারণগুলোর কোনোটিই পুরোপুরি ব্যাখ্যা দিতে পারছে না কেন পৃথিবী যেন অদ্ভুত তাড়াহুড়োয় দিনকে গিলে ফেলছে।
"কেউই এটি আশা করেনি," স্বীকার করলেন মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির লিওনিদ জোটভ, যেন সময়ের স্থিতিশীলতার প্রতি আমাদের বিশ্বাসের ভিত কেঁপে উঠছে। আজও পৃথিবীর এই দ্রুততর ঘূর্ণনের আসল কারণ রয়ে গেছে এক গভীর অমীমাংসিত রহস্য, যা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, সময় হয়তো ততটা অবিচল নয় যতটা আমরা ভেবেছিলাম।
এবি/এএ