প্রাণ ফিরছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে, বাড়ছে মেডিকেল ভিসার সংখ্যা

প্রাণ ফিরছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে, ভারত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মেডিকেল ভিসার সংখ্যা বাড়িয়েছে, যা ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর। করোনার প্রভাব ও ভিসা জটিলতায় কমে যাওয়া বাংলাদেশি যাত্রা এবার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ভারতের হাসপাতাল, হোটেল ও ব্যবসায় প্রাণ ফিরে পাবে এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

Aug 11, 2025 - 12:46
Aug 11, 2025 - 13:31
 0
প্রাণ ফিরছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে, বাড়ছে মেডিকেল ভিসার সংখ্যা

আন্তঃবানী ডেস্ক:

বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর! মোদি সরকারের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মেডিকেল ভিসার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে, যা গত রোববার (১০ আগস্ট) থেকে কার্যকর হয়েছে। করোনা মহামারির পর দীর্ঘদিন থেমে থাকা বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের ভারত যাত্রা আবারো নতুন গতি পাবে বলেই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কয়েক বছর আগে করোনা সংক্রমণের তাণ্ডব এবং ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ভিসা নীতিতে সৃষ্ট জটিলতার কারণে ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। এর ফলে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালোরের বড় বড় হাসপাতাল, হোটেল, পরিবহন খাত, খুচরা বাজার ও মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলো মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছিল।

পরিসংখ্যান বলছে, করোনা আগের সময় প্রতিবছর প্রায় ৩৬ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসা, পর্যটন ও ব্যবসায়িক কাজে ভারতে যাতায়ত করতেন। কিন্তু গত এক বছরে এই প্রবাহ প্রায় বন্ধের কাগজে চলে গিয়েছিল। ফলে ভারতের বাণিজ্য ও সেবা খাতের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। তবে মোদি সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ফের ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে বাংলাদেশিদের পদচারণা বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কলকাতার নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তারা মনে করছেন, “বাংলাদেশি ক্রেতারা আমাদের জন্য শুধু গ্রাহক নয়, তারা আমাদের ব্যবসার প্রাণ। তাদের ফিরে আসায় অর্থনীতি নতুন করে শ্বাস প্রশ্বাস পাবে।”

একই সঙ্গে দিল্লি ও চেন্নাইয়ের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা আশাবাদী, “বাংলাদেশি রোগীরা ফিরে এলে আমাদের আর্থিক সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারব।” হোটেল মালিক, পরিবহন কর্মী, ট্র্যাভেল এজেন্ট ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও এই সিদ্ধান্তকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, “ব্যবসায় নতুন প্রাণ ফিরবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং পর্যটন খাত আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভিসা সহজীকরণ শুধু ব্যবসায়িক উপকারই করবে না, বরং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। দুই দেশের মানুষ, ব্যবসায়ী ও চিকিৎসার্থীদের মাঝে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে, যা সমৃদ্ধি ও সহযোগিতার পথ সুগম করবে।

সার্বিকভাবে, মোদি সরকারের এই পদক্ষেপ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও পর্যটন খাতকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে। বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের জন্য সহজতর ভিসা প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে সাফল্যের দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে।

এবি/এএ