যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ৩৫% শুল্কের খড়গ: বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতে বড় ধাক্কা
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের উপর ৩৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা আগে ঘোষিত হারের চেয়ে কম হলেও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক বেশি। ভিয়েতনাম নতুন বাণিজ্য চুক্তি করে শুল্ক ৪৬% থেকে ২০%-এ নামিয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ এখনো উচ্চ শুল্কের মুখে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৪টি দেশের উপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন এবং পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে আরও শাস্তিমূলক শুল্কের হুমকি দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় লিপ্ত, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো অনিশ্চিত।

আন্তঃবানী ডেস্ক-
তিন মাস আগে ঘোষিত প্রাথমিক হারের চেয়ে এই হার ২% কম হলেও, বাংলাদেশের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ভিয়েতনাম সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করেছে, যার আওতায় তাদের পণ্যগুলোর উপর মাত্র ২০% শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প তার ১৪টি চিঠির প্রতিটিতেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সেই হারে শুল্ক আরও বাড়িয়ে দেবে। ট্রাম্প চিঠিতে লিখেছেন:
“যদি কোনো কারণে আপনারা আপনাদের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আপনারা যতটুকু বাড়াবেন, সেই একই হারে আমরা আমাদের শুল্কের উপর যোগ করবো।”
১৪টি দেশের উপর আরোপিত নতুন শুল্কের তালিকা:
১. মিয়ানমার: ৪০%
২. লাওস: ৪০%
৩. কম্বোডিয়া: ৩৬%
৪. বাংলাদেশ: ৩৫%
৫. সার্বিয়া: ৩৫%
৬. ইন্দোনেশিয়া: ৩২%
৭. বসনিয়া: ৩০%
৮. দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩০%
৯. তিউনিশিয়া: ২৫%
১০. মালয়েশিয়া: ২৫%
১১. কাজাখস্তান: ২৫%
১২. দক্ষিণ কোরিয়া: ২৫%
১৩. জাপান: ২৫%
১৪. থাইল্যান্ড: ৩৬%
এদিকে বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ভিয়েতনামের সাথে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর ২০% শুল্ক আরোপ করবে।
এর আগে ভিয়েতনামের উপর ৪৬% শুল্ক আরোপের কথা ছিল, যা ৯ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে ৯০ দিনের একটি স্থগিতাদেশ শেষে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যগুলোর উপর কোনো শুল্ক আরোপ না করার শর্তে এই হার ২০% তে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
একজন আমদানিকারক এই শুল্ক দিতে বাধ্য, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যগুলো কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়বে। আমদানিকারকরা যদি অতিরিক্ত খরচ বহন করতে না চান, তবে রপ্তানিকারকদের অর্থাৎ বাংলাদেশি গার্মেন্টস কোম্পানিগুলোকে দাম কমিয়ে দিতে হতে পারে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশের পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রের গড় শুল্ক ছিল মাত্র ১৫% ।বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে এবং এই খাতের সবচেয়ে বড় বাজার হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটির সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং এর মোকাবেলায় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো ও বিকল্প কৌশল খুঁজে বের করা অপরিহার্য।
বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এই পণ্যের ওপর বর্তমানে গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। নতুন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫২ শতাংশের বেশি, যা ব্যবহারকারীর উল্লিখিত ৫৩ শতাংশের খুব কাছাকাছি। এই বিপুল পরিমাণ শুল্কের বোঝা নিয়ে মার্কিন বাজারে টিকে থাকা বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে এবং এই খাতের সবচেয়ে বড় বাজার হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটির সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং এর মোকাবেলায় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো ও বিকল্প কৌশল খুঁজে বের করা অপরিহার্য। বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এই পণ্যের ওপর বর্তমানে গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। নতুন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫২ শতাংশের বেশি, যা ব্যবহারকারীর উল্লিখিত ৫৩ শতাংশের খুব কাছাকাছি। এই বিপুল পরিমাণ শুল্কের বোঝা নিয়ে মার্কিন বাজারে টিকে থাকা বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এবি/এএ