বরাদ্দের ৭০ শতাংশ বেশি দামে শুরু হচ্ছে মেট্রোরেলের মতিঝিল-কমলাপুর অংশের কাজ

প্রকল্পের শুরুতে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই যাত্রী পরিবহন শুরুর লক্ষ্য ছিল। তবে ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাজ থমকে যায়। পুরোনো ঠিকাদার নির্ধারিত বরাদ্দে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় নতুন দামে চুক্তি করতে হয়েছে।

Jul 4, 2025 - 13:39
Jul 4, 2025 - 16:25
 0  2
বরাদ্দের ৭০ শতাংশ বেশি দামে শুরু হচ্ছে মেট্রোরেলের মতিঝিল-কমলাপুর অংশের কাজ

আন্তঃবানী নিউজ ডেস্ক :

মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন-৬ বর্ধিত অংশের কাজ অবশেষে আবার শুরু হচ্ছে। প্রকল্পের মূল বরাদ্দের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি দামে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।

প্রকল্পের শুরুতে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই যাত্রী পরিবহন শুরুর লক্ষ্য ছিল। তবে ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাজ থমকে যায়। পুরোনো ঠিকাদার নির্ধারিত বরাদ্দে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় নতুন দামে চুক্তি করতে হয়েছে। ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের জন্য যেখানে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, সেখানে চুক্তি হয়েছে ৪৬৫ কোটি টাকায়। যদিও শুরুতে ঠিকাদার প্রস্তাব করেছিলেন প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা।

দুটি ভাগে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে— অবকাঠামো ও কারিগরি। অবকাঠামো নির্মাণে সমস্যা না হলেও কারিগরি অংশ, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, লিফট, এক্সেলেটর, দরজা-গেট, সিসিটিভি, সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন কাজেই মূল জটিলতা তৈরি হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ করা প্রতিষ্ঠানকেই নতুন অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিলে কাজের সমন্বয় ব্যাহত হতো এবং আবার দরপত্র ডাকতে সময় নষ্ট হতো।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, দর চূড়ান্ত করার সময় প্রায় ২০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। জাপানের জাইকা সংস্থার অর্থায়নে নির্মাণ হওয়া প্রকল্পে ঠিকাদার নির্বাচনেও জাইকাকে যুক্ত করতে হয়েছে।

ডিএমটিসিএল বলছে, দেরিতে কাজ শেষ হলে সরকার বছরে অন্তত ১২৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে। বর্তমানে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৪৬ টাকা ভাড়া আয় হচ্ছে, যা কমলাপুর পর্যন্ত পৌঁছালে আরও বাড়বে।

মুদ্রাবাজারে টাকার মান কমা, পণ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া, সরঞ্জামের দাম বাড়া— এসব কারণেই চুক্তি মূল্য বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিকল্প ঠিকাদার খুঁজতে গেলে সময় ও রাজস্ব ক্ষতি আরও বাড়বে, এই আশঙ্কা থেকেই বর্তমান ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এবি/ এসএফ