হিটলারের পতন | নাৎসি সাম্রাজ্যের শেষ অধ্যায় | ইতিহাসের অজানা সত্য |
একটা সময় ছিল, যখন তার নাম শুনলেই কাঁপতো গোটা ইউরোপ। কিন্তু ১৯৪৫ সালে, বার্লিনের এক সিমেন্টের বাংকারে, একসময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটি নিজের জীবন শেষ করে দিলো। এই গল্পটা হিটলারের উত্থান নয়, তার পতনের ভয়ঙ্কর ইতিহাস।
একটা সময় ছিল, যখন তার নাম শুনলেই কাঁপতো গোটা ইউরোপ। কিন্তু ১৯৪৫ সালে, বার্লিনের এক সিমেন্টের বাংকারে, একসময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটি নিজের জীবন শেষ করে দিলো।
এই গল্পটা হিটলারের উত্থান নয়, তার পতনের ভয়ঙ্কর ইতিহাস।
যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল
১৯৪১ সাল। হিটলার যখন রাশিয়ার দিকে আগ্রাসন শুরু করে, তখন সে জানত না — এই সিদ্ধান্তই হতে যাচ্ছে তার পতনের সূচনা। স্টালিনগ্রাদের যুদ্ধ, যেখানে নাৎসি বাহিনী শীতে জমে গেল, ক্ষুধায় মরল, আর রাশিয়ান বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধে হার মানতে বাধ্য হলো।
এরপর একে একে হিটলারের মিত্ররা ভেঙে পড়তে শুরু করলো — ইতালি, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, কেউই পাশে রইলো না।"
বার্লিন ঘিরে ফেললো মিত্ররা
১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাস। পশ্চিম দিক থেকে এগিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটিশ বাহিনী, আর পূর্ব দিকে আগুনের মতো ধেয়ে আসছে সোভিয়েত রেড আর্মি।
বার্লিন শহর চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হলো। হিটলার তখন তার গোপন বাংকারে, যেখানে বাইরে চলছে গোলার বর্ষণ আর ভিতরে চলছে ষড়যন্ত্র, আতঙ্ক আর আত্মপ্রতারণা।"
অন্তিম মুহূর্ত
"৩০ এপ্রিল, ১৯৪৫। হিটলার তার দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করলেন। বিয়ের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনেই আত্মহত্যা করেন। হিটলার মাথায় গুলি করে নিজেকে শেষ করেন, আর ইভা খেয়ে নেন বিষ।
তাদের দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয় যাতে মিত্র বাহিনী কোন প্রমাণ না পায়। কেউ বলে এটা ছিল পরাজয়ের স্বীকৃতি, কেউ বলে এটা ছিল কাপুরুষের শেষ পথ।"
ইতিহাসের পাঠ
হিটলারের পতন শুধুমাত্র একজন নেতার পতন নয়। এটা ছিল এক বিভ্রান্ত আদর্শ, এক ভয়ানক যুদ্ধনীতির ভেঙে পড়া। তার পতনের সঙ্গে শেষ হলো নাৎসি পার্টি, থেমে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, এবং শুরু হলো নতুন এক পৃথিবীর পথচলা।
ইতিহাস শুধু বইয়ের পাতা নয়, এটি আমাদের জন্য এক শিক্ষা। হিটলারের পতন আমাদের দেখায় — যতো শক্তিই থাকুক, অন্যায় আর বিদ্বেষের শেষ হয়েই যায়।